ব্যর্থ প্রেমের গল্প icon

ব্যর্থ প্রেমের গল্প

1.0.0 for Android
3.0 | 50,000+ Installs

Mayazaal

Description of lovesadstory

Download the official version of India apps from 9apps now. 20,000+ users downloaded lovesadstory latest version on 9Apps for free every week! The app can be the quickest one to play if you get used to it. This hot app was released on 2019-03-23. It is available as a free download on 9Apps.
বিবাহিত অথবা অবিবাহিত, আপাদের সবার পড়া উচিৎ।
এক রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর আমার
স্ত্রি প্রতিদিনের মত আমাকে নিয়ে রাতের খাবার
খেতে বসলো। তখন আমি তার হাতটি জড়িয়ে ধরলাম
এবং বললাম, "আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই।"
সে আমার চোখের দিকে শান্ত ভাবে তাকালো...
আমি বুঝতে পারছিলাম
না যে তাকে আমি কথাগুলো কিভাবে বলবো। কিন্তু
তাকে আমার জানানো উচিৎ যে, আমি তার সাথে আর
সংসার করতে চাই না। আমি খুব ধীরে,
শান্তভাবে বিষয়টি তুললাম। সে আমার কথায়
কোনরকম বিরক্ত প্রকাশ
না করে ধীরে ধীরে জিজ্ঞেস করল, "কেন?"
আমি তার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলাম। এতে সে রেগে গেলো।
টেবিলের উপর থেকে সবকিছু ছুড়ে ফেলে দিয়ে চিৎকার
করে বললো, "তুমি একটা কাপুরুষ।" সেই রাতে আমাদের
আর কথা হল না। সে সারা রাত নিঃশব্দে কাঁদলো।
হয়তো ও বুঝার চেষ্টা করছিল কেন
আমি এমনটা চাইলাম। কিন্তু
আমি তাকে বলতে পারিনি যে, আমি আর
একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছি।
আমি নিজেকে খুব অপরাধী মনে করেছিলাম, আর ঐ
অপরাধবোধ নিয়েই আমি ডিভোর্স লেটার লিখলাম,
যেখানে উল্লেখ ছিল, আমাদের বাড়ি, আমাদের গাড়ি,
এবং আমার ব্যবসায়ের ৩০% এর মালিক সে হবে। তার
হাতে কাগজটি যাওয়ার
সাথে সাথে ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করে ফেললো।
যে মানুষটার সাথে আমি ১০ টা বছর সংসার করলাম,
আজকে আমি তাকেই আর চিনি না। তার এতগুল সময়,
সম্পদ, এবং শক্তি নষ্ট করার জন্য আমার খুব খারাপ
লাগছিলো, কিন্তু এখন আমি আর তাকে ফেরত
নিতে পারবো না কারণ, আমি ফারহানা কে ভালোবাসি।
অবশেষে সে আমার সামনে চিৎকার
করে কান্না করে দিল, যা আমি আশা করছিলাম। আমার
কাছে তার কান্না একরকম মুত্তির চিহ্নের মত
লাগছিল। তখন মনে হচ্ছিল, এবার আমি আসলেও
সফল।
পরের দিন, আমি অনেক দেরী করে বাসায় ফিরি।
দরজায় ঢুকতেই দেখি, ও ডাইনিং রুমে টেবিলে কিছু
লিখছিল। আমি আর খাবার খেতে গেলাম
না এবং সরাসরি ঘুমাতে চলে গেলাম, কারণ সারাদিন
ফারহানাকে নিয়ে অনেক ঘুরেছি এবং এখন
আমি ক্লান্ত। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। যখন আমার ঘুম
ভাঙ্গলো, তখনো ও লিখছিল। আমি গ্রাহ্য করলাম
না এবং আবার ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে সে আমাকে কিছু শর্ত দিল, যেখানে লেখা ছিল,
"আমি তোমার থেকে কিছুই চাইনা, কিন্তু
আলাদা হয়ে যাওয়ার আগে শুধু এক মাস সময় চাই। এই
একমাসে আমরা জতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক জীবন জাপন
করবো, কারণ আর একমাস বাদেই আমাদের ছেলেটার
পরীক্ষা। ওর যাতে কোন ক্ষতি না হয় তাই
আমি এমনটা চাইছি।"
আমি মেনে নিলাম। কিন্তু সে আমার কাছে আরও কিছু
চেয়েছিল... ও আমাকে মনে করতে বললো, বিয়ের দিন
আমি তাকে যেভাবে কোলে করে নিয়ে ঘরে ঢুকে ছিলাম।
ও আমাকে অনুরোধ করলো, যাতে এই একমাস
আমি তাকে প্রতি সকালে কোলে করে আমাদের শোবার
ঘর থেকে বাইরের দরজা পর্যন্ত নিয়ে যাই।
আমি ভাবলাম, ও পাগল হয়ে গেছে। যাই হোক, এই শেষ
সময়ে যাতে আর ঝামেলা না হয়, তাই আমি তার অনুরোধ
মেনে নিলাম।
আমি ফারহানাকে আমার স্ত্রির দেয়া শর্তগুলোর
কথা বলেছিলাম। শুনার পর সে অট্ট
হাসিতে ফেটে পড়লো, যা খুবই অযৌক্তিক
লাগলো আমার কাছে। তখন ফারহানা আমার স্ত্রির
উপর ঘৃণা এবং রাগ নিয়ে বললো, "সে যতই
ছলনা করুক আর মায়া কান্না দেখাক, তাকে ডিভোর্স
নিতেই হবে।"
আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের উদ্দেশ্য স্পস্টভাবে প্রকাশ
হওয়ার পর থেকে আমার স্ত্রি এবং আমার মধ্যে আর
কোন শরীরী যোগাযোগ ছিল না। যাই হোক, যেদিন
আমি প্রথম তাকে কোলে তুললাম, তখন আমরা দুজনেই
খুব বিব্রতবোধ করছিলাম। আমাদের ছেলেটা পেছন
থেকে তালি বাজাচ্ছিল আর বলছিল, "আব্বু
আম্মুকে কোলে তুলেছে, কি মজা কি মজা।" ছেলেটার
কথা শুনে কেন জেন আমার খারাপ লাগতে শুরু করলো।
শোবার ঘর থেকে ড্রইংরুম, ড্রইংরুম থেকে বাইরের
দরজা পর্যন্ত আমি ওকে কোলে করে নিয় গেলাম।
সে তার চোখ বন্ধ করলো এবং ফিস ফিস করে বললো,
"আমাদের ছেলেটাকে আমাদের ডিভোর্সের কথাটা কখনও
জানতে দিওনা।" আমি ওকে দরজার
বাইরে নামিয়ে দিলাম। সে তার কাজে চলে গেল, আর
আমি অফিসে চলে গেলাম।
দ্বিতীয় দিন, আমরা দুজনেই খুব স্বাভাবিক আচরন
করলাম। সে আমার বুকে মাথা রাখলো। আমি তার চুলের
গন্ধ পাচ্ছিলাম। আমার মনে হল, আমি কতদিন এই
মানুষটাকে একটু ভালোভাবে দেখিনি, বুঝার
চেষ্টা করিনি। দেখলাম, ওর কত বয়স হয়ে গেছে।
চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে গেছে... চুলে কাঁচাপাকা রঙ
ধরেছে। কিছু মুহূর্তের জন্য মনে হল আমি তার
সাথে কি করেছি।
চতুর্থ দিন, যখন আমি তাকে কোলে তুললাম, তখন
বুঝতে পারলাম আবার আমাদের অন্তরঙ্গতা ফিরে আসছে।
এটাই সেই মানুষ, যে তার জীবনের ১০ টা বছর আমার
সাথে পার করেছে। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিন আমার
আবারো মনে হল যে, আমাদের সম্পর্কটা আবার
বেড়ে উঠছে। আমি এসব বিষয়ে ফারহানাকে কিছুই
বলিনি।
যতই দিন যাচ্ছিল, ততই খুব সহজে আমি আমার
স্ত্রিকে কোলে তুলতে পারতাম। সম্ভবত, প্রতিদিন
কোলে নিতে নিতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। একদিন
সকালে বাইরে যাওয়ার জন্য সে পছন্দের কাপড়
খুঁজছিল। ......।।
কষ্টের কথা গুলো
কষ্টের জীবন আমার
আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।

Information

  • Category:
    Dating
  • Latest Version:
    1.0.0
  • Updated:
    2018-06-02
  • File size:
    2.9MB
  • Requirements:
    Android 4.1 or later
  • Developer:
    Mayazaal
  • ID:
    com.mayazaal.love_sad_biroher_story_golpo